চিকেন বেকিং এর কিছু কৌশল

দিন দিন ওভেন এর চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমরা অনেকেই বেশ কিছু সাধারন রান্না এখন ওভেন এ করার চেষ্টা করে থাকি। সেসব রান্নাটি একটি হচ্ছে চিকেন বা মুরগির মাংস ওভেনে রান্না করা। কিন্তু সাধারণত চুলায় রান্নার পরিবর্তে ওভেনে মুরগির মাংস রান্না করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখা উচিত।

এখানে মূল বিষয় হলো মুরগির দেহের বিভিন্ন অংশের মাংস রান্না হতে বিভিন্ন রকম তাপমাত্রা এবং বিভিন্ন রকম সময় লেগে থাকে। আমরা যখন চুলায় সাধারণত কোন পাত্রে মুরগির মাংস রান্না করে থাকি তখন তা অত্যন্ত দীর্ঘ সময় যাবত চুলাতে থাকে। এবং আমরা সময় সময়ে ইচ্ছা করলেই একটু মাংস তুলে নিয়ে দেখে নিতে পারি মাংস সঠিকভাবে রান্না হয়েছে কিনা। কিন্তু ওভেনে মাংস রান্নার ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটি ততটা সহজ নয়। তাই ওভেনের তাপমাত্রা এবং সময় এর ব্যাপারটি এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

আরও সহজভাবে বলতে গেলে মুরগির মাংসের কিছু অংশ থাকে লাইট মীট (light meat) বা হোয়াইট মীট (white meat), এবং কিছু মাংস থাকে ডার্ক মীট (dark meat). এই হোয়াইট মীট অংশ রান্না হতে তুলনামূলক কম সময় লাগে এবং ডার্ক মীটের অংশগুলো রান্না হতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগে মাংসের গঠনগত পার্থক্যের জন্য। 

এ ব্যাপারটি সমাধান করার জন্য দুইটি কাজ করা যেতে পারে আপনি যখন ওভেনে আস্ত মুরগী রান্না করবেন তখন অবশ্যই মুরগির মাংস ডিম রান্না হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় অনুযায়ী বেকিং করে থাকবেন। কিন্তু যদি আপনি ডার্ক মীট এবং হোয়াইট মীট আলাদা ভাবে রান্না করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি সহজেই মানুষের ধরন অনুযায়ী ওভেন এ তাপমাত্রা এবং সময় পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন।

এক্ষেত্রে একটি নিয়ম অনুসরণ করতে হয় যা হচ্ছে বেকিং এর মাধ্যমে মুরগির মাংস প্রস্তুত করতে হলে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে মুরগির মাংসের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা যেন ১৬৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর বেশি হয়ে থাকে। কারণ হচ্ছে ১৬৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট মুরগির মাংস রান্নার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ তাপমাত্রা এবং কোনভাবেই ১৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কম তাপমাত্রায় প্রস্তুতকৃত মুরগির মাংস আমাদের খাওয়ার জন্য উপযুক্ত এবং নিরাপদ নয়। 

তাই আপনি আস্ত মুরগির মাংস একসাথে ওভেনে রান্না করুন, আর আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করুন না কেন, অবশ্যই নিশ্চিত রাখতে হবে মাংসের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা যেন ১৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হয়ে থাকে।

Leave a Comment