বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ফাস্টফুডের সাথে একটি সাইট আইটেম হিসেবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাবারটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। শুধুমাত্র তাই নয় এই জনপ্রিয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির প্রক্রিয়া ও তুলনামূলক সহজ। কিন্তু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুত প্রণালী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
এর মাঝে কোন কোন প্রণালী তে যেমন আলু দুইবার আলাদা আলাদা ভাজতে হয়। আবার কোনো কোনো প্রণালীতে আলুকে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিতে হয়। কোনো কোনো প্রণালীতে আবার আলুকে ভাজার পূর্বে সিদ্ধ করে নিতে হয়। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন ধরনের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পাওয়ার জন্য কোন ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় –
প্রথমত আপনি যদি রেস্টুরেন্টে প্রাপ্য মচমচে ধরনের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে আলু নির্বাচন করতে হবে বড় আকৃতির এবং সেগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর আলুগুলোকে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে যাতে আলুর বাইরে বিদ্যমান ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।
তারপর আপনাকে সে আলু গুলোকে প্রথমে উচ্চ তাপমাত্রার তেলে ভেজে নিতে হবে খুবই অল্প সময় পর্যন্ত। আলু কিছুটা বাদামী বাদামী রং ধারণ করলে সাথে সাথে উঠিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। আলু গুলোকে কিছুক্ষণ তেলের বাইরে রেখে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তারপর আবার মাঝারি তাপমাত্রায় আলু গুলোকে তেলের মাঝে ভেজে নিতে হবে। লক্ষনীয় বিষয় হলো, প্রথমবার উচ্চ তাপমাত্রায় অল্পসময় ভাজার ফলে আলুর বাইরে মচমচে ভাবটা চলে আসে এবং দ্বিতীয়বার মাঝারি তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ ভাজার ফলে আলুর ভেতরের অংশটি রান্না হয়ে যায়। তাই দুইবার বেছে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে আপনি সুসিদ্ধ এবং মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করতে পারবেন । এ ধরনের মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আপনি আপনার পছন্দের কোন সসের সাথে মিশিয়ে উপভোগ করতে পারবেন।
এখন আসা যাক দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটিতে
প্রথম প্রক্রিয়াটিতে আপনি আলুর ফ্লেভার বৃদ্ধি করার জন্য লবণ বা বিভিন্ন মসলা বা আপনার পছন্দের সস ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটিতে আলু সিদ্ধ করে নেয়ার মাঝে এবং সিদ্ধ করার সময় পানিতে লবন দেয়ার মাধ্যমে আলুকে শুরু থেকেই একটি ফ্লেভার দিয়ে গড়ে তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে পূর্বের মতো লম্বা আলু নির্বাচন করতে হবে এবং খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর আলুগুলো কেটে নিয়ে ঠান্ডা পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
শুরুতেই পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ দিয়ে দিতে হবে। তাহলে একদিকে যেমন আলু সিদ্ধ হতে থাকবে অন্যদিকে আলুর মাঝে পানি প্রবেশ করবে এবং আলু সিদ্ধের গতি বৃদ্ধি করে দিবে। তারপর আলু যখন মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় চলে আসবে তখন আপনি আলু গুলোকে নামিয়ে ফেলবেন এবং কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে তারপর গরম তেলে ভেজে নিবেন। সঠিকভাবে ভাজা হয়ে গেলে আলু চুলা থেকে নামিয়ে তাতে লবণ বা পছন্দের কোনো মসলা ছড়িয়ে দিবেন এবং এই প্রক্রিয়াতে তুলনামূলক কম মচমচে আলু ভাজা তৈরি হলেও দেখা যাবে যে ফ্লেভারের দিক থেকে এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই প্রথম প্রক্রিয়াটির মতই অনেক বেশি সুস্বাদু।
রেস্টুরেন্টের মতো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির এই দুইটি প্রক্রিয়ার মাঝে এই ছিল পার্থক্য।